ওয়ার্ডপ্রেস কী?
খুব সহজ করে বললে ওয়ার্ডপ্রেস একটি স্ক্রিপ্ট যে স্ক্রিপ্ট দিয়ে আপনি একটি ওয়েবসাইট খুব সহজে বানাতে পারবেন যদি আপনার কোডিং সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নাও থাকে।
এটা একটি ওপেন সোর্স প্রোডাক্ট। অর্থাৎ এটা ফ্রি অব কস্ট। ব্যবহার করার জন্য টাকা দিয়ে স্ক্রিপ্টটি কিনতে হয় না। এই ধরণের স্ক্রিপ্টকে সিএমএস (CMS)ও বলা হয়ে থাকে। সিএমএস মানে হলো- কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেটম (Content Management System)।
আগেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস স্ক্রিপ্ট দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো যায়/হয়। এখন হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে- কোন্ ধরণের ওয়েবসাইট? যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট। সেটা পার্সোনাল কিংবা বিজনেস হতে পারে, সেটা ডেইলি লগ (ব্লগ) বা ইয়ার বুক হতে পারে, সেটা সামাজিক নেটওয়ার্ক বা কেনাবেচার সাইট হতে পারে… যেকোনো রকম সাইটটি বানানো সম্ভম সিএমএস ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন?
প্রযুক্তির ছোঁয়া আমাদের জীবনকে করেছে স্বচ্ছন্দ-সাবলীল। আগে ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে লাগতে একদিন। আর এখন লাগে এক ঘণ্টা। কীভাবে এটা সম্ভব? প্রযুক্তির ছোঁয়ায়।
এবার ভাবুন- একটা ওয়েবসাইট বানাবেন। কত ঝক্কি-ঝামেলা। ডিজাইন-স্লাইসিং-কোডিং-আপলোডিং-কনফিগারিং-বাগস্ ফিক্সিং আরও কত কত প্রবলেম! এইসব ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্যই ওয়ার্ডপ্রেসের মতো স্ক্রিপ্ট বা সিএমএস।
একটা ব্যাপার খেয়াল করুন- ওয়েবসাইট যেরকমেরই হোক না কেন এর কিছু কমন বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন ধরুন, একটা ওয়েবসাইটের মধ্যে একটা হেডার, একটা ফুটার, একটা বডি থাকবেই। এছাড়াও থাকতে পারে সাইডবার, মেনুবার ইত্যাদি।
এরকম কমন বিষয়গুলো এই সিএমএস বা স্ক্রিপ্টে রেডি করা থাকে। আপনি শুধু আপনার মতো করে এডিট করে নিলেই ঐ সিএমএস বা স্ক্রিপ্টটা আপনার ওয়েবসাইট হয়ে যাবে। এজন্য আপনাকে কোনো ডাটাবেজ, কোড, ফাংশনলাটি নিয়ে কিচ্ছু ভাবতে হবে না। এগুলো অটো ক্রিয়েট হয়ে যায়। কীভাবে? কীভাবে আবার! আপনি যখন এই স্ক্রিপ্টটি আপনার হোস্ট সেটাপ তখন-ই তা তৈরি হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত লেখা হবে।
ওয়ার্ডপ্রেসের প্রকারভেদ?
ওয়ার্ডপ্রেসের আবার প্রকারভেদ! কথাটা শুনতে হয়তো একটু অন্যরকম লাগছে। আসলে ব্যাপারটা ঠিক তা-না। একটু সহজ করে বলার চেষ্টা করি- ওয়ার্ডপ্রেস দু’ভাবে ব্যবহার করা যায়।
- ১. ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব হোস্ট সার্ভারে- যেখানে ওয়ার্ডপ্রেস স্ক্রিপ্ট বা সিএমএসটি ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব সার্ভারে সেটাপ করা আছে। আপনি এখানে রেজিস্ট্রার করে সাব-ডোমেইন নিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে আপনার তেমন কোনো স্বাধীনতা থাকবে না। যেটার ঠিকনা হলো- www.wordpress.com. এখানে সাবডোমেইনগুলো হবে এরকম- http://www.bihosh.wordpress.com
- ২. আপনার নিজস্ব হোস্ট সার্ভারে। মানে স্ক্রিপ্টটি ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে আপনার নিজস্ব সাইটে (ডোমেইন) আপলোড করে ইনস্টল-এর মাধ্যমে সেটাপ করে আপনার স্বাধীনমতো ব্যবহার করেত পারবেন। ঠিকানা- www.wordpress.org
আর কিছু?
আপাতত এই। আমি আমার নিজের মতো করে বলে গেছি। আপনাদের কারও কোনো পরামর্শ, আদেশ, উপদেশ থাকলে মন্তব্য দিয়ে জানান অনুগ্রহ করে- কৃতার্থ হবো। আপনাদের জিজ্ঞাসাগুলো আমাকে আরও ক্লিয়ার/পরিস্কার/সহজ করে লিখতে সহায়তা করবে। প্লিজ সহায়তা করুন!
ভালো থাকুন, সাথে থাকুন। ধন্যবাদ। 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সহজভাবে তুলে ধরেছেন ওয়ার্ডপ্রেস চালিয়ে যান পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষা করছি.
ধন্যবাদ @Efthi ভাইয়া। সাথে থাকুন, ভালো থাকুন… আশা করছি এই সিরিজটা শেষ হলে ওয়ার্ডপ্রেস আরও সহজ মনে হবে ভালো লাগবে… 🙂
valo laglo aro kisu jante chi
wordpress siktee chai – kisu ref diben