• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

পান্থ বিহোস

লেখক | পাঠক | ফ্রিল্যান্সার

  • প্রথম পাতা
  • ব্লগ
  • আমার পড়া
    • আমার পড়া অনুবাদ
    • আমার পড়া উপন্যাস
    • আমার পড়া কবিতা
    • আমার পড়া গল্প
    • আমার পড়া ছড়া
    • আমার পড়া নন-ফিকশন
    • আমার পড়া রহস্য-রোমাঞ্চ-গোয়েন্দা
    • আমার পড়া সম্পাদনা
  • আমার বই
    • আমার অনুবাদ বই
    • আমার মৌলিক বই
    • আমার সম্পাদনা
  • আমার লেখা
    • ফিচার
    • সায়েন্স ফিকশন
    • উপন্যাস
    • প্রবন্ধ
    • কিশোর গল্প
    • কিশোর উপন্যাস
    • কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস
    • কিশোর সায়েন্স ফিকশন
    • গল্প
    • গোয়েন্দা উপন্যাস
    • গোয়েন্দা গল্প
    • কবিতা
    • ফানটুস্ট
    • রান্নাবান্না
    • পারসোনাল
যৌবনবতী ক্ষেতের যৌন কেচ্ছা এবং কবি ও বালিকাদ্বয়…

যৌবনবতী ক্ষেতের যৌন কেচ্ছা এবং কবি ও বালিকাদ্বয়…

সে ও জমিন অধ্যায়

– আমি তাকে চুমু খেয়েছিলাম।
: এটা ঠিক ছিলো না।
– আমি তাকে বুক স্পর্শ করতে দিয়েছিলাম।
: ভালো হয়েছিলো কি ব্যাপারটা?
– আমি তাকে আবাদ করতে দিয়েছিলাম আমার সোনালী জমিনে।
: এতোটা জানতাম না।
– কিন্তু এখনো আমি শুকিয়ে যাইনি। আমার রস অটুট আছে। যে কেউ এখনো আমায় চাষাবাদ করতে পারে- তুমিও!
: ছি!
– ছি? কেনো!
: তার কী হয়েছিলো?
– সে ঠিকভাবে চাষাবাদ করতে জানতো ঠিকই। বোকা, তাও না। সে ছিলো বহুগামী। তাই পছন্দ হয়নি। তাড়িয়েছি। বদমাইশ!
: আর্শ্চয!
– আমার কাছে আসতো সে প্রায়ই। ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাবার পথে অন্যের ফসল ধ্বংস করতো কখনো। বদমাইশ!
: দুঃখ হয় তার জন্য?
– মোটেও না। বদমাইশ!
: তোমার ফসল?
– নিতে দিইনি তাই।
: সে কি!
– কেনো দেবো? অন্যের কষ্টের ফসলেও যে সে হাত দিতো!
: তাই?
– মিথ্যে বলছি না। কাহিনী শোনো- একবার ইরি বপন করলো আমার বুকে। আমাকে যত্ন করলো, ইরিকে যত্ন করলো, নিয়মিত সার দিলো, আগাছা পরিস্কার করলো, সময়মতো পানি দিলো। ভালো মতো ফসল জন্মালাম। ভালো ধান হলো সে বছর। কিন্তু হয়েছে কি জানো? আমার বুকের ধান না পাকতেই পাশের ক্ষেতে পেকে গেছে। ওরা আগে চাষ করেছিলো। সে তখন আমাকে দেখতে এসে দেখে আমার ধান এখনো পাকেনি। ফেরার পথে ঐ ক্ষেতের ধান কেটে নিয়ে ফিরে গেলো।
: তাই মন খারাপ হয়েছিলো?
– অবশ্যই।
: কী করলে তখন?
– পোকা ডেকে এনে আমার বুকের ধান নষ্ট করে ফেলেছিলাম।

সে ও দহন অধ্যায়

: তুমি কী বলেছিলে মনে আছে?
– কী?
: বর্ষার দিনে, বৃষ্টিকালে রিক্সা করে ঘুরে বেড়াবে- হুড অবশ্যই ফেলে দিয়ে। কিংবা ঝাঁঝালো রোদে ঘুরে বেড়াবে তপ্ত রাস্তায়, এই আমাকে নিয়ে।
– মনে আছে।
: তুমি এমনটা করলে কেনো?
– ব্যাপারটা দোষের ছিলো না মোটেও।
: ওসব ভাবতে পারো?
– কেনো নয়? সেক্স একটা অনুভূতি ছাড়া কিছু নয়।
: কিন্তু অঙ্গটা… চামড়ার কথা বলছিলাম?
– ওটা স্পর্শ হতেই পারে। চামড়ায় চামড়ায় স্পর্শ হলেই যে খারাপ কিছু; তা নয়। হ্যান্ডশ্যাক করো না? ওটা কি সেক্স? ওটা খারাপ? ব্যাপারটা অনেকটা ওরকমই, নট মোর দ্যান, ইয়া?
: তখন অমন ভাবতে না।
– তো…?
: তোমার চিন্তাগুলো সুন্দর ছিলো।
– এখনো আছে।
: তাহলে আমার ভুল হয়েছিলো।
– না হয়নি। শোনো! প্রথমবার সেক্স করি জাস্ট ফান করে, দ্বিতীয়বার স্বাদ পরিবর্তন।
: এটা কি আদর্শ হলো? আদর্শ আপেক্ষিক নয়। তুমি প্রজ নও।
– আদর্শ আপেক্ষিক অবশ্যই। তোমার দেশে ছেলে-মেয়ে চুমু খাওয়া অআদর্শ, ওয়েস্টার্নে এটা আদর্শ।
: ওরকম নয়। আদর্শ যেটা সেটা অবশ্যই আপেক্ষিক নয়। যেমন সত্য। সত্য কি আপেক্ষিক? পৃথিবী ঘুরে সত্য। এটা সব দেশের মানুষই একরকম বলে। তাই নয় কি লাজুলি?
– জটিল কোরো না। তুমি সেক্সকে অতো জটিল করছো কেনো? রুদ্র, সেক্সই কি সব? আমার চিন্তা-চেতনাগুলো দেখবে না?
: আমি শ্রদ্ধা করি যা তোমার বাহ্যিকে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে তা মিলেনা।
– অথ্যাৎ…?
: অর্থাৎ সেক্স…!
– তুমি সেক্সকে কী ভাবো?
: সেক্সকে সেক্সই ভাবি।
– তার সাথে কি ভালোবাসা নেই?
: কথা দু’ধরনের হতে পারে- এক সেক্স ইজ নাথিং উইদাউট লাভ এবং দুই লাভ ইজ নাথিং উইদাউট সেক্স। আমি প্রথমটার পক্ষে।
– মানে…?
: যেখানে প্রথমে ভালোবাসা হয় সেখানে পরে সেক্স হতে পারে। কিন্তু যেখানে প্রথমে সেক্স হয় সেখানে আর যাই হোক ভালোবাসা হয়না।

[এক বছর পর… নাথিং… দুই বছর পর… সামথিং… পাঁচ বছর পর… বার্নিং… আন্ডারস্ট্যান্ডিং… ক্রাইং… এন্ড আফটার দ্যান…]

শে ও দহন অধ্যায়

– তোকে চেয়েছিলাম। তুই আমার, রুদ্র।
: মোটেওনা বোধহয়…। আর অবশ্যই তোর নয় এই আমি।
– বিশ্বাস কর!
: আচ্ছা… করলাম। বল?
– আমি দূরে যাইনি।
: জানি।
– আমি অটুট আছি।
: ভালো।
– আমায় নিবি?
: বড্ড দেরি করেছিস্ নয় কি?
– মনে হয়।
: তবে?
– বুঝিনি তখন। তোকে অবহেলা করেছিলাম।
: ভালো করেছিস্। তোর মুক্তি হয়েছে।
– হয়নি মোটেও। আর দেরিও হয়নি কিছু তেমন।

[অবান্তর অধ্যায় এক : তুই মরেছিস এগারো ডিসেম্বর। আমি সাগর দেখেছিলাম একটা, সেদিন। সেখানে মুক্তো আছে অনেক। আমি পেয়েছি তার একটা। আমাকে নতুনভাবে সাজিয়েছে সে। সাগর তলের সৌন্দর্যের মতোই। আমাকে বাঁচিয়েছে। তুই মরেছিস। আমাকে আর কাঁদাতে পারবিনা। আমার একটা মুক্তো আছে। তুই মুক্তো হতে পারবিনা, কখনোনা, কারও কাছে না। এক সময় ছিলি, আমার কাছে। অতপর তুই আবদ্ধ হয়েছিস, “আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউয়ে যেতে নীল জল দিগন্ত ছুঁয়ে এসেছো… আমি কখনো যাইনি জলে… কখনো ভাসিনি নীলে”। আর নয় তোর জন্য। তুই নীলে ভেসে গেছিস, তুই জলে নেমেছিস…। তুই কি ফেঁসে গেছিস? অতপর আমি তাও ভাবিনা। যেনো আমি কিছুই জানিনা…।]

[অবান্তর অধ্যায় দুই : কবির চিন্তা-চেতনা যখন অনায়াসে অণু লোশনে পরিণত হয়, জনসন ডিব্বা যখন করতল হয়ে স্থান পরিবর্তন হয় স্বচোট্টামিতে অথবা স্বইচ্ছায়, বালিকা যখন প্রস্টিটিউট বনে বিসর্জন দেয় হাইমেন- নিজের রাগকে বশবর্তী অকরতে পেরে কিংবা বলবো নিজের আগ্রহে তখন, লুইচ্চা মৈথুনে বীর্যাণু, মৈথুন ইকুয়েল চিত্তের কিংবা মনের অথবা সাধারণ আনন্দ ভাবা দায়, নিশ্চিত হয়। লোশন গন্ধ যখন তোপখানা রোড দুর্গন্ধ ছড়ায়- বালিকার স্বইচ্ছায় হাইমেন ছেড়ার প্রতিযোগিতার মতো, স্বজাতি কবি এ তথ্য জানায় অনায়াসে, কিংবা শুদ্ধতায় নির্ভর করে, নতুন দর্শন আদর্শের নতুন সংজ্ঞা আদর্শ আপেক্ষিক বলে বালিকা বিকল্পে কথার গ্যাঁড়াকলে, শিকলাবদ্ধে। ভাবতে অবাক অলাগলেও বিস্মিত হতে দোষ কোথায়?]

শে ও কীট অধ্যায়

– আমার কষ্টরে, খুব কষ্ট!
: কী হয়েছে তোর? বল আমায়…
– জানিনা! আমায় সুখ দে!! রুদ্র, আমায় সুখ দে।
: আমি? বোকা! নই মোটেও আমি। জয়ীতারা সুখি কি হয় বন্ধু, কখনো? তুইতো চিত্রা নোস। অথবা…
– জানিনা, আমায় সুখ দে… আমি দিপাবলী নইরে। আমি লাজুলি। আমার কষ্ট! খুব কষ্ট…!!!
: সময় যায়নি মোটেও তেমন। তুই হয়ে যা নিরন্তর।

[অবান্তর অধ্যায় তিন: শে দৌড়ায়, আমি অপেক্ষা করিনা। অণুগুলো নয় উত্তেজিত মোটেও, আমার। আমি অতো ব্যস্ত নই। আমার অনেক সময় আছে- জমা করেছি বছরের পর বছর। অন্তর্জালায় জ্বলে। শে দৌড়াতে থাকে। আমার উপেক্ষা করার সময় নেই, যেমন নেই দেখারও। আমি কিছু করিনা।]

নিঘর্ন্টসহায়কব্যাখ্যা অধ্যায়

জমিন : দুঃখ কি বোঝো, নাকি বুঝিসনা?১
শে : পাঁচতারা হোটেল>গুলশান>কোলকাতা>সিঙ্গাপুর>থাইল্যান্ড…বাংলাদেশ>শাহিনবাগ; হয়তো তবুও…হয়না !…!২
মুক্তো : তোমায় আমি ভালোবাসি অযুত লক্ষ নিযুত কোটি। এলেনা এখনো! ডাকছি তোমায়…৩
সে : আমি এক যাযাবর, আমার মাথায় শুধু গোবর। আসছি সোনা…৪
কবি : আসলে বিবেকহীনতাই মানুষের অউন্নতির কারন [স্বগোক্তি : তবে চোট্টামি করা পাপ নয় কখনো!]৫

চরিত্র বিবৃতায়ন অধ্যায়

১. একটি উর্বর ধানের ক্ষেত- উর্বর আর যৌবনবতী কি এক কথা?
২. বালিকা এক- শে। লাভ ইজ নাথিং উইদাউট সেক্স।
৩. বালিকা দুই- মুক্তো। সেক্স ইজ নাথিং উইদাউট লাভ।
৪. বালক- সে। যৌবনবতী ক্ষেতের যৌন কেচ্ছা এবং কবি ও বালিকাদ্বয়ের পঞ্চমজন।
৫. কবি- অনাকাঙ্খিতভাবে জড়ো হওয়া এঁটো কিছু ভাবতে অদোষ।

বিভাগ: আমার লেখা, গল্প

Leave a Reply Cancel reply

You must be logged in to post a comment.

বিভাগসমূহ

ফ্রি নিউজ লেটার সাবস্ক্রিপশন ফরম:

ইমেইল:

Delivered by FeedBurner

আমার অনুবাদ বই

নেমেসিস - অনুবাদ: পান্থ বিহোস


বিহোস.কম © ২০২০ - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সর্বমোট পঠিত: 325032