• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

পান্থ বিহোস

লেখক | পাঠক | ফ্রিল্যান্সার

  • প্রথম পাতা
  • ব্লগ
  • আমার পড়া
    • আমার পড়া অনুবাদ
    • আমার পড়া উপন্যাস
    • আমার পড়া কবিতা
    • আমার পড়া গল্প
    • আমার পড়া ছড়া
    • আমার পড়া নন-ফিকশন
    • আমার পড়া রহস্য-রোমাঞ্চ-গোয়েন্দা
    • আমার পড়া সম্পাদনা
  • আমার বই
    • আমার অনুবাদ বই
    • আমার মৌলিক বই
    • আমার সম্পাদনা
  • আমার লেখা
    • ফিচার
    • সায়েন্স ফিকশন
    • উপন্যাস
    • প্রবন্ধ
    • কিশোর গল্প
    • কিশোর উপন্যাস
    • কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস
    • কিশোর সায়েন্স ফিকশন
    • গল্প
    • গোয়েন্দা উপন্যাস
    • গোয়েন্দা গল্প
    • কবিতা
    • ফানটুস্ট
    • রান্নাবান্না
    • পারসোনাল
শুয়োপোকা, প্রজাপতি এবং আমিগুলো

শুয়োপোকা, প্রজাপতি এবং আমিগুলো

“স্যার আমি লুবনা, গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার থেকে বলছি। আপনি কি আমাদের হেল্প সেন্টারে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন?”

মোবাইল ফোনটা রিসিভ করে কানে লাগাতেই উপরের কথাগুলো ভেসে আসে আমার কানে।
আচমকা আমি থমকে যাই। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি। মূলত এই কারণে নয় যে, গ্রামীণফোন থেকে আমাকে একটি মেয়ে ফোন করেছে।
লুবনা আমার এতো পরিচিত একটা নাম, তার কণ্ঠস্বর শোনেই আমি থমকে যাই।

এক নিমিষে ফিরে যাই সাতটি বছর আগে।

ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে সবে মাত্র একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসইতে ভর্তি হয়ে ঢাকায় এসেছি।
মনে ফুরফুরে আনন্দ, চোখে রঙিন স্বপ্ন।
আমার হাতে তখনও মোবাইল ফোন আসেনি। কঠিন শাসনে আমাদের ভাই-বোনগুলোকে বেড়ে তোলা আমার বাবা দেম-দিচ্ছি করছেন।

আমার সম্বল পত্রমিতালী। সেই ক্লাস সেভেনে যখন কাবস্কাউটে ভর্তি হয়ে ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, বন্ধু গড়ে উঠাদের সাথে যোগাযোগ করতেই পত্রমিতালী আমার সঙ্গী হয়ে গিয়েছিলো।

আমি গল্প লিখতাম। লিখতে ভালো লাগতো। কেননা, আমি তখন তিন গোয়েন্দা বই আর আর বইয়ের পোকা ছিলাম। বই পড়তে পড়তে মনে হতো যদি আমিও এমন লিখি তাহলে কেমন হয়?

টুকটাক লিখতাম। যেগুলো কালেভদ্রে দৈনিক ও বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকাতেও ছাপা হতো।
দুইহাজার দুই সালের এপ্রিল সংখ্যা মাসিক তারকালোকে আমার একটি গল্প ছাপা হলো। পত্রিকাওয়ালারা কি কারণে সেখানে আমার ঠিকানাও ছেপে দিলেন।

যার ফল স্বরূপ বেশ কিছু চিঠি পেলাম।
এর মধ্যে একটা মেয়ের একটা চিঠি আমাকে খুব ভাবিয়ে তুললো। তার লেখার ভাষা ছিলো মার্জিত-পরিপাটি আর আকর্ষণীয়।
ভাবলাম এতোদিন তো শুধু ছেলেদের সাথে পত্রবন্ধু করলাম। এবার একটি মেয়ের সাথে করলে কেমন হয়?

মনের মাধুরী মিশিয়ে চিঠির জবাব দিলাম।
সপ্তাহ না ঘুরতেই রঙিন খামে সে জবাব দিলো। এবারের চিঠি আরও সুন্দর। তার ভাবনাগুলো ছিলো অতি চমৎকার আর আমাকে সেগুলো ভাবিয়ে তুলতো।
আমি তাকে আমার সমমনা মনে করতাম যদিও সে তখন ক্লাস টেনে পড়তো।

ধীরে ধীরে এমন হলো যে, তার চিঠি একটু দেরিতে পেলে আমার টেনশান হতো, ভালো লাগতো না।
একবার সে চিঠিতে লিখলো, তোমাকে অনেক মিস করি, আর মিস করি তোমার চিঠিগুলো। তুমি অনেক দেরিতে চিঠি লেখো। কিংবা পিয়ন আমাকে দেরিতে চিঠি পৌঁছায়। বন্ধু, তুমি কি কুরিয়ারে চিঠি পাঠাতে পারো না?

শুরু হলো কুরিয়ারে চিঠি পাঠানো। সপ্তাহে দুই তিনটি চিঠি তাকে লিখতাম আর সেও আমাকে লিখতো।
কখনো সপ্তাহের প্রতিদিন তাকে চিঠি লিখতে হতো। কেননা, না লিখলে সে পড়ালেখায় অনিয়ম করবে, খাবে না বলে আমাকে আলটিমেটাম দিতো।

সে প্রায়ই লিখতো, রুদ্র, ভেবে দেখো আমরা একই শহরে একই আকাশের নীচে আছি, অথচ কেউ কাউকে দেখছি না, দেখা করছি না, কিন্তু আমরা পরস্পরকে কতই না মিস করি।

সত্যিই, এটা ভাবতে আমার খুবই ভালো লাগতো। ভাবতাম, সত্যিই আমার একটা চমৎকার বন্ধু আছে যে আমাকে বুঝতে জানে, আমাকে পড়তে জানে। আমি তাকে মিস করতাম। অবসরে তার নামে মালা জপতাম।
আমি যদি লিখতাম, আমাদের কি কখনোই দেখা হবে না? সে লিখতো, না। তারপর হেসে হেসে লিখতো, আরে বোকা হবে হবে, অতো ধৈর্য হারাচ্ছো কেন? মনের দিক থেকে আমরা যেদিন অনুভব করবো যে, হ্যাঁ এখন আমাদের দেখা হওয়া প্রয়োজন সেদিনই দেখা করবো। তার আগে নয়। বুঝেছো বোকারাম?
আমি লিখতাম, তোমাকে দেখতে বড্ড মন চায়। একটা ফটো দেবে?
সে লিখতো, কখনোই নয়। ছবি সেতো স্থির। তোমাকে শুধু কষ্টই দেবে। প্রশ্ন করলে জবাব দেবে না। আমিও তোমার ছবি চাই না।

শেষের দিকে, আমাদের বন্ধুত্ব যখন অনেক গাঢ়, ও লিখতো, তোর মতো বন্ধু পেয়ে আমি আনন্দিত, আমার জীবন স্বার্থক। তুই অনেক ভালো রে…

মনে মনে আমি ভাবতাম, এই কথাগুলো তোর জন্যও ঠিক লু, তোর জন্যও…

দুই.

এভাবে কেটে গেলো আমাদের কয়েকটি বছর।
সে এসএসসি পাশ করলো। সে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করলো। ভর্তি হলো একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
একদিন মেইল করে জানালো, ইন্টারমিডিয়েটে ভালো রেজাল্টের জন্য বাবা তাকে মোবাইল কিনে দিয়েছে। আমি যেনো শিগগিরই মোবাইল কিনি।
লুনার কথা শুনে আমার খুব খারাপ লাগলো। কথা ছিলো, মোবাইল দুজনে একসাথে কিনবো।
এতোদিন আমি ইচ্ছে করেই মোবাইল নিইনি। আমার গ্যানগ্যানানিতে বাবা যদিও বছর খানিক পর রাজি হয়েছিলেন মোবাইল কিনে দিতে, কিন্তু লুনা যখন বললো, এখন মোবাইল নেবো না আর তুমিও নিও না তখন আমি বাসায় জানালাম, আমার মোবাইল এখন লাগবে না। যখন লাগবে চেয়ে নেবো।
আর ও কিনা আমাকে না জানিয়েই হুট করে নিয়ে নিলো?
আমি ওকে চিঠি লেখা বন্ধ করে দিলাম।
ও একের পর এক চিঠি লিখতে লাগলো। কিন্তু আমার কষ্টটা নিয়ে ও কিছুই লিখলো না। কেন? কে জানে! এতে আমার অভিমান আরও বাড়লো।
হুট করে আমি আমার বাসা পরিবর্তন করে অন্যজায়গায় চলে গেলাম। কারণ ওকে ফাঁকি দেয়া। আমার ভয় ছিলো, ওকে চিঠি না লিখলে ও হুট করে হয়তো একদিন চলে আসবে আমাকে হাতে নাতে ধরতে। আগের বাসার কেয়ারটেকারকে বললাম, আমার চিঠি এলে রেখে দিতে, আমি সময় করে এসে নিয়ে যাবো।

এভাবে কেটে গেলো ছয় মাস।
একদিন মনটা এতো খারাপ ছিলো, কী করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। লুনার নাম্বারটা নিয়ে একটা দোকান থেকে মোবাইল করলাম ওকে।

তিন.

ওপাশ থেকে একটা রিনিঝিনি কণ্ঠস্বর বলে উঠলো, হ্যালোও…
বললাম, লু, আমি রুদ্র।
: রুদ্রঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅ ! অ-মাই গড, সব কথা পরে বলছি, কিন্তু তোর আল্লার দোহাই লাইনটা কাটিস না। আল্লার দোহাই…
: আমি গরিব মানুষ, দোকান থেকে ফোন করতে অনেক টাকা লাগবে…
: আমার সাথে ভং করবি না, টাকা না থাকলে দোকানের কাম করে পরিশোধ করবি, আমার জন্য করবি, শুধু আমার জন্য।
: আচ্ছা, লাইন কাটবো না, বল…
: তুই আমার সাথে এমন করলি কেন রুদ্র, কেন করলি?
কথাগুলো বলতে বলতেই ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলো। আমি তো অবাক! দোকানের মানুষগুলোর সামনে আমি কী বলবো?
চুপ করে রইলাম। দুই তিন মিনিট পর ও একটু শান্ত হয়ে বললো, তুই আমার সাথে এমন করতে পারলি? কেমন করে পারলি?
: তুই কেমন আছিস?
: তোর লজ্জা হওয়া উচিত এমন প্রশ্ন করার জন্য।
ওকে রাগানোর জন্য বললাম, আমি লজ্জিত…
: ঢং করবি না, বদের হাড্ডি, তোকে আমি আস্ত রাখবো না… তোর হাড্ডি আমি জ্বালিয়ে কয়লা করবো, এখন কোথায় আছিস বল?
……
……

চার.

আজ এতোটা বছর পর যখন শুনলাম, ‘স্যার আমি লুবনা, গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার থেকে বলছি। আপনি কি আমাদের হেল্প সেন্টারে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন?’
তখন ওকে চিনতে একটুও ভুল হলো না। ওর মিষ্টি রিনঝিনে কণ্ঠস্বর কি কখনো ভুলা যায়?

মূলত গতকাল কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেছিলাম আমার জিপির নেট স্পীড খুব বাজে হয়ে গেছে। পিং থাকে না। সেই অভিযোগ করেছিলাম। ওরা আমার নম্বর টুকে রেখেছিলো, যেনো সমাধান করে আমাকে জানাতে পারে।

পাঁচ.

“রুদ্র, আমার প্রচণ্ড মন খারাপ, অনেক অনেক মন খারাপ। আমাকে একটু আদর করবি?”
একদিন গভীর রাতে আমার ঘুম ভাঙলো মোবাইলের রিঙটোন শুনে। ডিসপ্লেতে এলইউ লেখাটা দেখে রিসিভ করে কানে লাগাতেই ওর আবেগ জড়ানো কথাগুলো ভেসে এলো।
প্রথমে আমি বুঝতেই পারলাম না… বুঝতেই পারলাম না ও আমাকে কী বলেছে?
চোখের আর মনের ঘুম দ্রুত কেটে গেলো সামান্য দুটি বাক্য শুনে।
“কী বললি? বুঝতে পারলাম না… ”
“আমাকে একটু আদর করবি? আমার গালে কিংবা আমার ঠোঁটে কিংবা তোর যেখানে মন চায়?” কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে ও কথাগুলো আওড়ায়।

আমি স্তব্ধ হয়ে ওর কথা শুনি। একটা মেয়ে কোনোদিন আমাকে এমন করে বলেনি। কী আজব কথা! আমি একটা মেয়েকে স্পর্শ করবো? তার ঠোঁটে আদর করবো?
মনের অজান্তেই আমার শরীর কেঁপে উঠলো।
শোয়া থেকে আধশোয়া হয়ে বসলাম দেয়ালে পীঠ ঠেকিয়ে। মোবাইলটা ভালো করে কানে লাগাতে গিয়ে দেখি আমার হাত কাঁপছে। বোধহয় শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে গিয়ে থাকবে।
চেষ্টা করলাম নিজেকে সংযত করতে। বললাম, “কী সব হাবিজাবি বলছিস লু? বুঝতে পারছিস কী বলছিস?”
আমার ঠাণ্ডা কণ্ঠস্বর শুনে ও চুপ করে গেলো। একটু পর ওর শ্বাসের শব্দ শুনে বুঝলাম ও কাঁদছে।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো। বুঝতে পারলাম ওর কোনো সমস্যা হয়েছে।
নতুন করে ওর সাথে যোগাযোগ হওয়ার পরের কথা এগুলো।

ছয়.

শান্ত হওয়ার জন্য ওকে একটু সময় দিলাম। একটু পর ও শান্ত হলো, বুঝতে পারলাম ওর কথা শুনেই।
“কী করছিস তুই?”
“কী হয়েছে তোর?” উল্টো প্রশ্ন করি আমি।
“কিছু না, কিছু মনে করিস না। মনটা ভীষণ খারাপ, ভীষণ খারাপ।” লুবনা আমাকে জানায়।
“লু, প্রতিটা মানুষের মনে কিছু একান্ত কথা থাকে। এগুলো কাউকে না কাউকে বলতেই হয়। কারও সাথে শেয়ার করতেই হয়। এই কেউ একজনটা হতে পারে বাবা কিংবা মা, ভাই-বোন, স্ত্রী বা স্বামী অথবা কোনো বন্ধু। তোর মনের কথাগুলো কাউকে বলে ফেল, দেখবি মনটা অনেক ভালো হয়ে গেছে।” বললাম ওকে।
“জ্ঞান দিবি না। কাল তোর সাথে দেখা করতে চাই।” স্ট্রেইট আমাকে জানিয়ে দিলো।
“তোর সাথে দেখা করবো? লোকজন আমাকে ক্ষেপাবে একটা বান্দরনীর সাথে ঘুরছি বলে।” হেসে বললাম ওকে।
“বেশি কথা বলবি না। কাল সকালে তোকে ফোন করবো। এখন ঘুমো। রাখি?”
“মাঝ রাতে ঘুম ভাঙিয়ে এখন বলে ঘুমো।” আমি রাগ দেখানোর চেষ্টা করি। “তুই পেয়েছিসটা কী?”
“আয় তোকে ঘুম পাড়িয়ে দিই।”
“কোথায় আসবো?” আমি অবাক হই।
“আরে গাধা, মনে মনে ভাব তোর মাথায় আমি হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।” শিক্ষয়ত্রীর মতো করে বলে ও।

আমি আবারও শিহরিত হই।

সাত.

পরদিন ওর কলের অপেক্ষা করি। ওর মোবাইল বন্ধ। আমার টেনশান বাড়ে। একটা টিউটোরিয়াল ছিলো। কিন্তু মন চাইলো না ক্যাম্পাসে যেতে। যদিও আগেই জানতাম ও আমার সাথে দেখা করবে না, কেননা ও আগেও এরকম কয়েকবার বলেছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর দেখা করেনি। তাই এ ব্যাপারে আমি আর খুব একটা আগ্রহ দেখাই না।

আট.

চার পাঁচ দিন পর ওর কল পেলাম।
“রাগ করছিলি?”
“না, রাগ করবো কেন?” আমি রাগ দমন করে শান্ত স্বরে জবাব দেই।
ও হেসে কুটি কুটি হয়।
বলে, “তোকে কিছু কথা বলার জন্য কল করেছি। তুই এখন কোথায় আছিস?”

নয়.

যারা আগ্রহ নিয়ে এতোখানি লেখা পড়েছেন, তাদেরকে সবিনয়ে জানাচ্ছি, তারপরের কাহিনী খুবই সংক্ষিপ্ত।
মূলত এটা কোনো গল্প কিংবা উপন্যাস নয় কিংবা কোনো ছিনেমার কাহিনী। এটা বাস্তবতা।
বাস্তবতা যতো কঠিনই হোক, সে তার পথ থেকে নড়ে না। হৃদয়ের চাওয়ার কাছে বাস্তবতা সবসময়ই পদদলিত হয়। হৃদয় সে তো আকাশের চাঁদ চাইতেই পারে কিন্তু বাস্তবতা এটা কখনোই মেনে নেয় না।

যাই হোক, সেদিন লুবনার মনের লুকানো কথাগুলো শুনেছিলাম। কথাগুলো হয়তো ও খুব গুছিয়ে বলেছিলো। কিন্তু আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। স্রষ্টা আমার বুঝার ক্ষমতা অতোটা হয়তো প্রখর করেনি।

দশ.

লুবনা জাহান, আমার প্রিয় লু-এর কথাগুলো বলতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু বাস্তবতা- কে, কীভাবে নেবেন? আর এটাও আমার পছন্দ না যে, একটা মেয়ে সম্পর্কে সবাই বিরূপ ধারণা নিক।
যদিও একটা মেয়েকে দিয়ে আমরা সবাইকে বিচার করতে পারিনা কিংবা এটা করা ঠিকও না।

একটা প্রতিকী গল্প লিখেছিলাম লু-এর সাথে যোগাযোগ বন্ধের বছর পাঁচেক পর। এই ব্লগেও গল্পটি পোস্ট করেছিলাম।
।। …..একটি যৌবনবতী ক্ষেতের যৌন কেচ্ছা এবং কবি ও বালিকাদ্বয়…..।।
কেউ জানে না, গল্পটি কোন্ প্রতিকী অর্থে লিখেছিলাম। যারা এই লেখাটি পড়েছেন তারা এবার হয়তো ঐ গল্পটির অর্থ বুঝতে পারবেন।

লুবনার সাথে সেদিনই ছিলো আমার শেষ কথা। ওর কথাগুলো বলার পর ও নিষেধ করেছিলো ও কল না দেয়া পর্যন্ত যেনো ওকে আর কল না দিই কিংবা ওর সাথে আর কোনো যোগাযোগ না রাখি। আমি ওর কথা রেখেছিলাম এবং সেজন্য আমি আমার কষ্টটাকে গুরুত্ব দিই নি। ওর কথা রাখতে পেরেছি, এই বড়।

সেদিন গ্রামীণফোন থেকে ও কি আমাকে জেনেশুনেই কল দিয়েছিলো? আমি জানি না।

বিভাগ: আমার লেখা, গল্প

Comments

  1. লুপায়েল says

    March 13, 2016 at 16:49

    গল্পের লুনা বা লুবনা নামটা আমার খুব প্রিয়। আপনার লেখাগুলো অনেক ছাড়া ছাড়া টাইপের, মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলি।

    Log in to Reply
    • পান্থ বিহোস says

      March 13, 2016 at 16:51

      সেজন্য আমি দুঃখিত। আমার ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও ভালো লেখার চেষ্টা করবো যেন বুঝতে সহজ হয়। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন। 🙂

      Log in to Reply
  2. sravan says

    January 28, 2019 at 15:56

    গল্পের লুনা বা লুবনা নামটা আমার খুব প্রিয়। আপনার লেখাগুলো অনেক ছাড়া ছাড়া টাইপের, মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলি।

    Log in to Reply
  3. Ahmed Mansur says

    July 12, 2019 at 19:11

    লুনা কী বলেছিল সেদিন?

    Log in to Reply

Leave a Reply Cancel reply

You must be logged in to post a comment.

বিভাগসমূহ

ফ্রি নিউজ লেটার সাবস্ক্রিপশন ফরম:

ইমেইল:

Delivered by FeedBurner

আমার অনুবাদ বই

নেমেসিস - অনুবাদ: পান্থ বিহোস


বিহোস.কম © ২০২০ - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সর্বমোট পঠিত: 325024