• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar

পান্থ বিহোস

লেখক | পাঠক | ফ্রিল্যান্সার

  • প্রথম পাতা
  • ব্লগ
  • আমার পড়া
    • আমার পড়া অনুবাদ
    • আমার পড়া উপন্যাস
    • আমার পড়া কবিতা
    • আমার পড়া গল্প
    • আমার পড়া ছড়া
    • আমার পড়া নন-ফিকশন
    • আমার পড়া রহস্য-রোমাঞ্চ-গোয়েন্দা
    • আমার পড়া সম্পাদনা
  • আমার বই
    • আমার অনুবাদ বই
    • আমার মৌলিক বই
    • আমার সম্পাদনা
  • আমার লেখা
    • ফিচার
    • সায়েন্স ফিকশন
    • উপন্যাস
    • প্রবন্ধ
    • কিশোর গল্প
    • কিশোর উপন্যাস
    • কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস
    • কিশোর সায়েন্স ফিকশন
    • গল্প
    • গোয়েন্দা উপন্যাস
    • গোয়েন্দা গল্প
    • কবিতা
    • ফানটুস্ট
    • রান্নাবান্না
    • পারসোনাল
ঐ মাইয়া, তরে আই লাভ ইউউউউউ!!!

ঐ মাইয়া, তরে আই লাভ ইউউউউউ!!!

আমার বন্ধু আক্তার বিয়ে করেছে। সুন্দর, ঝকঝকে একটা বউ। আমি বাসায়, অসুস্থ। তাই যেতে পারিনি। বিয়ের একদিন পর আমার বাসায় এসে উপস্থিত আক্তার। এসেই হই চই শুরু করলো।
আমি হাসতে লাগলাম।

একটু পর নতুন বন্ধু শান্ত হলো। বললাম- মারা যাওয়ার পর তরে তো মারাত্মক সুন্দর লাগতেছে। ঘটনা কি? বউ কিস করলে কি পোলাপান সুন্দর হইয়া যায় নাকি?

প্রশংসায় কাজ হলো না। বন্ধু আক্তার গজরাতে লাগলো। একটু পর শান্ত হয়ে বসলো সে। পকেট থেকে ডিজিটাল ক্যামেরা বের করে নববধূর ছবি দেখালো। আমিও মুগ্ধ হয়ে দেখলাম।

নিজের প্রশংসায় কাজ না হলেও বউয়ের প্রশংসায় কাজ হলো। ঠাণ্ডা হলো সে। নববধূর নানাকাহিনী শুনে শিহরিত হলাম, স্বপ্ন দেখলাম, দু:খ পেলাম… আহারে বেচারা!

দুই.

২০ দিন যাবৎ জ্বরে ভুগছি…। প্রতিদিন রাত ৮/৯টার দিকে আকাশ-পাতাল জ্বর আসে। রাত ৩/৪টা পর্যন্ত জ্বরের ঘোরে কোন্ দুনিয়ায় থাকি কিছুই বুঝি না। জ্বর যখন ছেড়ে যায় তখন একটানা ১/২ ঘণ্টা শরীর ঘামতে থাকে। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর প্রচণ্ড দুর্বল লাগে শরীর। ঘুম আসে না।

সকাল ৭/৮দিকে ঘুম আসে। ১২/১টা পর্যন্ত ঘুমোই।

এভাবে মে মাসের ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত ভোগার পর ৪ তারিখ ডাক্তারের কাছে গেলাম। অধ্যাপক সাহেব প্রথমেই একগাধা টেস্ট ধরিয়ে দিলেন। পরদিন সকালে টেস্টগুলো করিয়ে বিকেলে আবার উনার কাছে যেতে হবে। কোনো ঔষধ না লিখেই উনি ৫০০টাকা ভিজিট নিয়ে নিলেন টুপ করে।

মনটা খারাপ হলো। বাইরে এসে ভাবলাম- ব্যাপার না। মাত্রতো ৬ ডলার। আমি হাফ হাওয়ার কাজ করলেই পেয়ে যাবো! 🙂

তিন.

পরদিন শালার ডাক্তার রিপোর্ট দেখে একগাধা এন্টিবায়োটিক লিখে দিলেন। জিজ্ঞেস করাতে বললেন- টাইফয়েড জ্বর। মনটা ভীষণ খারাপ হলো। মনে মনে ভাবলাম- শালা, তোর চৌদ্দগুষ্ঠীতে কারও টাইফয়েড হয়েছে? কী দেখে ভাবলি আমার টাইফয়েড?
কিছুক্ষণ পরেই গালাগালির জন্য মনটা খারাপ হলো। মনে মনে ভীষণ লজ্জা পেলাম। তিনি কি আর না জেনেই অধ্যাপক হয়েছেন। নিশ্চয় অনেক বড় ডাক্তার! বাসায় ফিরে নিয়মিত ঔষধ খেতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। পরবর্তী ৫ দিন এরকম চলার পর চলে এলাম বাপের বাড়ি।

চার.

আম্মা ভীষণ হই চই শুরু করলেন। আমাকে আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। স্পেশালিস্ট আমাকে মনোযোগ দিয়ে দেখলেন। অনেক সময় নিয়ে। আব্বার সাথে টুকটাক কথাও বললেন। আমার অসুস্থতা নিয়ে নয়। আমার মনে হলো, তাদের অনেকদিনের আলাপ। আগের আলাপের সূত্রতা ধরেই আজকে আর একটু এগিয়ে যাওয়া… 🙂

পাঁচ.

মেয়েটা ভীষণ সুন্দরী… তাকে আই লাভ ইউ বলা যায় কিনা ভাবতে লাগলাম। সে ভাবনা আর শেষ হয় না। রাত ১০টা থেকে শুরু হয়। ভোর ৩টা পর্যন্ত ভাবনা চলতেই থাকে! ঘোর কেটে যায় জ্বর সেরে যাওয়ার সাথে সাথেই… 😛


মেয়েটা ফিক করে হাসে। বড় ভালো লাগে।
আমার সাথে অভিমান করে। বড় ভালো লাগে।
ও কিন্তু ভীষণ ঝগড়াও করে। তাও তো খুব ভালোই লাগে।

আমিও ভীষণ উত্তেজিত। রাগের চোটে তবুও ভাবি, যায় কি বলা?
মেয়েটা ভীষণ সুন্দরীও… রোমাঞ্চিত হতেই থাকি। ভাবনা এসে মুগ্ধ করে
এক চেটিয়া চলে ভীষণ। প্রথম প্রহর দ্বিতীয় প্রহর তৃতীয় প্রহর কিংবা এবং ষষ্ঠ প্রহর
আমার ভীষণ ভালোই লাগে। মেয়েটা ভীষণ সুন্দরী যে! যায় কি বলা? কেমন করে?

ভাবনারা খুব তাড়িয়ে বেড়ায় অষ্ট প্রহর। মাথার ভেতর হলুদ মগজ ফুটতে থাকে টগবগিয়ে!
কী জ্বালাতন। এমন হলে কেমনতরো? ভাবনা এসে জমাট বাঁধে বরফকলে। আমার ভীষণ ভয়ও লাগে-

মেয়েটা কি হারিয়ে গেলো? চিরতরে? খুঁজবো কোথায়? ঠিকানা কি? এতো দূরে! যায় কি যাওয়া?
তবুও ভীষণ অবাক লাগে। ভালো লাগে। ভাবনারা খুব জ্বালায় আমায়। ভেবে ভেবে যতোই বলি। নিজকে নিয়ে নিজের ভেতর প্রশ্ন তুলি- যায় কি বলা?

“মেয়েটা ভীষণ সুন্দরী… আই লাভ ইউ বলা যেতে পারে কিংবা না-ও।”

চুপ!
তুই চুপ!
চুপ শ্লা!

আহা! এসব হচ্ছেটা কি? মেয়েটা কি এতোই বোকা? তা হয় না যদি তবু কেন কয় না কিছু?

“ঐ মাইয়া, তরে আই লাভ ইউউউউউ!!!!!!!!!!!!!”

বিভাগ: আমার লেখা, পারসোনাল

Comments

  1. limon says

    May 20, 2012 at 21:05

    bihos bai atodin jantam apni akjon freelancer. apni je ato balo lakok ta age jantam na!! nice article. carry on.

    Log in to Reply
    • Pantho Bihosh says

      May 22, 2012 at 19:13

      ধন্যবাদ @limon… 🙂

      Log in to Reply
    • মামুন সৃজন says

      May 30, 2012 at 16:29

      আমি কিন্তু পান্থ বিহোসকে লেখালেখির জন্যই চিনতাম। প্রযুক্তিতেও তিনি কম যান না এটা জেনেছিলাম অনেক পরে 🙂

      Log in to Reply
      • Pantho Bihosh says

        May 30, 2012 at 20:43

        মামুন ভাই, বড় লজ্জার কথা… কেমন যেন শরম শরম লাগিতাছে… 😉

        Log in to Reply
  2. sam says

    May 20, 2012 at 23:19

    অছথির 🙂 ব্যাপক পিনিক পাইলাম ।

    Log in to Reply

Leave a Reply Cancel reply

You must be logged in to post a comment.

বিভাগসমূহ

ফ্রি নিউজ লেটার সাবস্ক্রিপশন ফরম:

ইমেইল:

Delivered by FeedBurner

আমার অনুবাদ বই

নেমেসিস - অনুবাদ: পান্থ বিহোস


বিহোস.কম © ২০২০ - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সর্বমোট পঠিত: 343520