সে অনেক আগের কথা। সময়টা ছিলো গ্রীষ্মকাল। এই গ্রীষ্মের কোমল হাওয়ায় ভেসে একটা ঘাসফড়িং মনের সুখে গান গাচ্ছিলো। তার পাশ দিয়েই তখন যাচ্ছিলো একটা পিঁপড়া। সে অনেক দূর থেকে সংগ্রহ করা ভুট্টা নিয়ে খুব কষ্টে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। তার কষ্ট দেখে ঘাসফড়িং বললো, ‘ওহে পিঁপড়া ভাই, কেন এতো পরিশ্রম করছো, আসো একটু মজার গল্প করি তোমার সাথে।’
কিন্তু পিঁপড়া তার কথায় কান না দিয়ে বাসার পথেই ছুটলো আর জানতে চাইলো, ‘কেন তুমি অযথা বসে আছো, শীত মৌসুমের খাবার সংগ্রহ করেছো না কেন তুমি?’
‘ধ্যাত্তেরি! শীতকে কে পাত্তা দেয়?’ বিরক্ত প্রকাশ করলো ঘাসফড়িং। তারপর বললো, ‘আমাদের তো এখন অনেক খাবার আছে।’ পিঁপড়াটা আর কিছু না বলে নিজের কাজে মন দিলো। তারপর শীত এলো। ঘাসফড়িং অবাক হয়ে দেখলো, তার কাছে কোনো খাবার নেই। শীতের এই দিনে খাবার নেই কোথাও! কী করবে সে। হঠাৎ চোখ গেলো পিঁপড়ার বাসায়। দেখলো, পিঁপড়া খুব আরামে তার দলবলসহ খাবার খাচ্ছে। ঘাসফড়িং তখন তার ভুল বুঝতে পেরে গ্রীষ্মের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। সামনের গ্রীষ্মতে সেও খাবার জমিয়ে রাখবে পিঁপড়ার মতো করে!
অনুবাদ: পান্থ বিহোস | ছবি: অনলাইন